সাংসদ মতিন: ছিলেন হাজারের অঙ্কে, এখন কোটিপতি!

প্রকাশিত: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮

সোনালী সিলেট ডেস্ক রিপোর্ট ::: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাংসদ আবদুল মতিন। তিনি আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির একাংশের সভাপতি। দলের মনোনয়ন না পেয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পুনরায় দলে ফিরে যান।

দুটি নির্বাচনের ফাঁকে তাঁর নগদ টাকা বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে ব্যাংকে টাকা না থাকলেও এখন তা অনেক। আগে ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ছিল না। এখন দুটি দামি গাড়ির মালিক। পেশাও বদল হয়েছে তাঁর। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় আবদুল মতিন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘এইচএসসি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তখন তাঁর পেশা ছিল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ওই পেশা থেকে পাওয়া সম্মানী থেকে বছরে আয় হতো ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ছিল। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবসমাগ্রী ছিল। যৌথ মালিকানায় ৫ একর স্থাবর সম্পদ ছিল।

এবার নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তিনি পেশা ‘কৃষি’ উল্লেখ করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩ টাকা নগদ রয়েছে। ব্যাংকে জমা আছে, ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ টাকা। ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এবং ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আরেকটি ‘নোহা’ জাতের গাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর নামে ১১৮ তোলা স্বর্ণালংকার, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিকসামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবসামগ্রী রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজের নামে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৪ শতক কৃষি জমি, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতক অকৃষি জমি আছে। তাঁর কোনো ঋণ বা দায় নেই।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে নগদ ও ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে বক্তব্য জানতে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংসদ আবদুল মতিন দাবি করেন, সাংসদ হিসেবে তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা সম্মানী পান। সম্মানীও বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে নগদ ও ব্যাংকে টাকা বেড়েছে। গাড়ি কিনেছেন। সরকারিভাবে তিনি কিছু জমিও পেয়েছেন। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সাংসদ মতিন বলেন, মৌলভীবাজার-২ আসনে মহাজোট থেকে কোনো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দিলে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। অন্যথায় তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন।

মৌলভীবাজার-২ আসনে সাংসদ আবদুল মতিনসহ মোট ৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম