অনলাইন ডেস্ক🖊
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক আটক হচ্ছেন সাবেক এমপি মন্ত্রীরা।
শাজাহান খান সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-২ আসন (রাজৈর-মাদারীপুর সদরের একাংশ) থেকে টানা অষ্টমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।
৩১শে জুলাই, ২০০৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। নভেম্বর ২০১৩-তে, অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌপরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন।
শাজাহান খান ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অ্যাডভোকেট মৌলভী আচমত আলী খান এবং মাতা তজন নেসা বেগম। তার পিতা আচমত ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং জাতীয় সংসদের সদস্য।
শাজাহান খান ১৯৫৭ সালে মাদারীপুরের নুতন শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ (বর্তমান মাদারীপুর সরকারি কলেজ) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে শাজাহান খান ১৯৬৪ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে মাদারীপুর উপবিভাগের ছাত্রলীগের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া তিনি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি ছিলেন।
শাজাহান খান একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় প্রথমে মুক্তিবাহিনী এবং পরে মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের দেরাদূনে মিলিটারি ট্রেনিং নেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর (প্রেসিডিয়াম) সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।