সোনালী ডেস্ক🖊
সারাদেশে আদিবাসী নারী নির্যাতন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাপেং ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কয়ের তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে ২০০৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৭২৬ জন আদিবাসী নারী বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন, পাচারসহ নানা সহিংসতামূলক কার্যক্রম। সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ে আদিবাসী নারী ও শিশুর মানবাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় পিএএসকেওপি এর আয়োজনে খাদিমনগর এফআইভিডিবির প্রশিক্ষণ হলে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার আয়োজন করে পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ (পাসকপ) ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
পাসকপ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী লাবনী স্বর্তীর পরিচালনায় সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাসকপ এর নির্বাহী প্রধান গৌরাঙ্গ পাত্র। আদিবাসী নারী ও শিশুর মানবাধিকার নিয়ে কিনোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা।
সভায় অতিথি ছিলেন কারিতাস সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক বনিফাস খংলা, লেখক ও কবি এ. কে. শেরাম, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট শিরীন আক্তার, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, আদিবাসী নারী নেত্রী ফ্লোরা বাবলী তালাং।
সভায় বক্তারা বলেন, ৫৪ এর অধিক জাতির আদিবাসী আছে বাংলাদেশে। দেশের মোট জনসংখ্যার ২% আদিবাসী। সাংবিধানিক স্বীকৃতি নাই আদিবাসীদের। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা এখন সময়ের দাবী। জুম চাষের জায়গায় পর্যটন স্পট করা হয় জোর পূর্বক।
আদিবাসী নারীদের জীবনযাপন নিয়ে বক্তার বলেন, আদিবাসী নারীদের রঙিন জীবন সবাই দেখে কিন্তু কষ্ট কেউ দেখে না। আদিবাসী নারীরা প্রান্তিক অঞ্চলে বাস করে। গর্ভকাল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সব কাজেই তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আদিবাসী নারীরা জাতিগত, লিঙ্গগত, ভাষাগত, ধর্মগত এবং শ্রেণিগত কারণে প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ফলে দিন দিন আদিবাসী নারীদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও বাড়ছে। আদিবাসী নারীরা সহিংসতার মধ্যে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, অপহরণ, নারী পাচার দিনদিন বাড়ছে।